পেটে ব্যথা কমানোর উপায় - দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ

চর্মরোগ থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়ভালোভাবে জীবন-যাপন করতে হলে সুস্থ থাকা প্রয়োজন। যে কারণে সুস্থ জীবন যাপন আমাদের সকলেরই কাম্য। তবে বর্তমান সময়ে আমাদের খাদ্যাভ্যাস আমাদেরকে সুস্থ জীবন থেকে অনেক দূরে রেখেছে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে জানব পেটে ব্যথা কমানোর উপায় - দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে।
পেটে ব্যথা কমানোর উপায় - দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ


বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যে পেট ব্যথা খুবই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বিভিন্ন জটিল কারণ ছাড়াও পেটব্যথা যেন নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। পেট ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সুস্থ জীবন যাপন করা জরুরি।

পোস্ট সূচিপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা পেট ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পেতে কি কি করতে পারি সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই

পেটে ব্যথা কমানোর উপায় - ভূমিকা

আমাদের চালচলন ও খাদ্য অভ্যাসের কারণে পেট ব্যথা নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কারণে মানুষ পেট ব্যথার হাত থেকে বাঁচতে বিভিন্ন উপায় খুঁজে থাকে। আজ আমরা এই আর্টিকালের মাধ্যমে পেটব্যথা সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানব তা হল;

পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ,পেটে ব্যথা কমানোর উপায়,পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়,দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ,নাভির উপর পেটে ব্যথা,পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ,পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ

পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা জেনে নেই পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত। বিভিন্ন কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। 
পেটে ব্যথা একটি দৈনন্দিন স্বাস্থ্য সমস্যা। আমরা অনেকেই এই রোগে ভুগে থাকি। পেটে ব্যথা হলে ঘাবড়ে যাওয়ার কিছু নেই বরং এর ধরন অনুযায়ী আমাদের চিকিৎসা নিতে হবে। অর্থাৎ পেটের কোন জায়গায় ব্যথা রয়েছে তার উপর ভিত্তি করে এটা কোন রোগের লক্ষণ সেই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় এবং এর ওপর ভিত্তি করেই চিকিৎসা প্রদান করা হয়। 

কিছু সাধারন পেটে ব্যাথা রয়েছে এর মূল কারণ হলো এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। কারো কারো ক্ষেত্রে গলি স্টোন হলে কারো কারো কিডনিতে স্টোন হলে কিংবা অ্যাপেন্ডিক্স সাইটের ব্যথা হলেও পেটে ব্যথা হতে পারে। কারো কারো মূত্রনালী বা মুত্রসয়ের ইনফেকশনের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। 

সাধারণ কিছু বিষয় লক্ষ্য রাখলেই পেটে ব্যথার কারণ অনুসন্ধান করা যায়। যেমন এসিডিটির ব্যথা হলে পেটের উপরের দিকে ব্যথা হয় এবং গলেস্টনের ব্যথা হয় পেটের উপরে ডান পাশের পাঁজরের নিচে।

অ্যাপেন্ডিক্স সাইটের ব্যথা হয় পেটের নিচে ডান দিকে এছাড়াও মুত্রাশয়ের ব্যথা হয় পেটের নিচের দিকে। এই বিষয়গুলো লক্ষ্য করলেই বোঝা যাবে আপনার পেট ব্যথার আসল কারণ কি। আশা করছি আপনি পেট ব্যথা কিসের লক্ষণ সে সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পেটে ব্যথা কমানোর উপায়

পেটে ব্যথা কমানোর উপায় জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেটে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা পেটে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জেনে নেই। অনেক সময় দেখা যায় আমাদের হঠাৎ করে পেট ব্যথা শুরু হয়ে যায়। 

হঠাৎ করে পেট ব্যথা হলে আমরা সাধারণত শুয়ে পড়ি বা খুব কম নড়াচড়া করি। কিছুক্ষণ শুয়ে থাকার পরে পেট ব্যথা সাধারণত কমে যায়। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় এই ব্যথা রাতের বেলায় হয়। অথবা আপনি এমন কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন যেখানে কোন ব্যথার ট্যাবলেট বা গ্যাসের ট্যাবলেট নেই অথবা আপনার কাছ থেকে ডাক্তার বা হসপিটাল অনেক দূরে রয়েছে। 

সেসব ক্ষেত্রে ঘরে বসেই আপনি আপনার পেট ব্যথা ঠিক করে নিতে পারবেন। যদি এই ব্যথাটা আপনার স্টোন জনিত ব্যথা না হয়। অর্থাৎ কিডনি স্টোন বা গডব্লাডার স্টোন না হয়। অন্য কোন মেজর প্রবলেম যদি আপনার পেতে না হয় তাহলে এই ব্যথাটা আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে সারিয়ে তুলতে পারেন একটা টোটকা মাধ্যমে। 

সেই টোটকা হল আদা ও গরম পানির টোটকা। আমাদের প্রত্যেকের ঘরেই আদা থাকে এবং পানি থাকে। শুধুমাত্র এই দুইটা জিনিস ব্যবহার করে আপনি আপনার পেট ব্যথা সারিয়ে তুলতে পারেন। কুসুম গরম পানিতে এক টুকরো আদা ছেচে তার রস মিশিয়ে পানিটুকু খেয়ে নিবেন। 
তাহলে দেখবেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে আপনার পেট ব্যথাটা সেরে গেছে। যদি সেটা ইনফ্লেমেটরি ব্যথা হয়, ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশনের জন্য ব্যথা হয় কিংবা বদহজমের জন্য ব্যথা হয়। এবার আপনার প্রশ্ন আসতে পারে, আদা খেলেই কেন পেট ব্যথা সারে? 

আদার মধ্যে এক ধরনের জিংগি বাইন নাম উপাদান থাকে যা আমাদের হজমে সহযোগিতা করে এছাড়াও আদার মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের বডিতে যে প্রাকৃতিক উৎসেচক আছে তাদের উৎপাদনকে বাড়িয়ে দেয়। যার কারনে আপনার পেট ব্যথাটা কমাতে সাহায্য করে। এর সাথে গরম পানি আমাদের হজমে সহযোগিতা করে থাকে। 

তাই আদা ও কুসুম গরম পানি একসাথে খেলে পেট ব্যথা জনিত যেকোনো সমস্যা খুব সহজেই সাড়িয়ে তোলা যায়। তবে মনে রাখবেন যদি আপনার কোন গুরুতর সমস্যার কারণে পেটব্যথা হয় সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। আশা করছি আপনি পেটে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায়

পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা পেটে গ্যাসের ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

বর্তমান সময়ে গ্যাসের সমস্যা প্রায় অধিকাংশ মানুষেরই রয়েছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে বেশ কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খাওয়ার ফলে গাছের সমস্যা থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন পাশাপাশি গ্যাসের ব্যথাও দূর হবে। চলুন তাহলে খাবার গুলো সম্পর্কে জেনে নেই:

ওটমিল: ওটমিল খুব ভালো হাই ফাইবার সমৃদ্ধ একটি খাবার। যেটা আপনারা চাই সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন। এ ধরনের খাবার ফাইবার রিচ হওয়াতে আমাদের হেলথ এর জন্য খুব ভালো কাজ করে। হজমে সহায়তা করে এবং পাকস্থলী থেকে যেই এসিড টা নিঃসৃত হয় যার জন্য আমাদের এসিডিটি অনুভব হয় সেটা কমাতে সাহায্য করে।

কলা: কলা এমন একটি ফল যা আপনাকে দ্রুত এনার্জি দিবে এবং এটাতে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম ও ফাইবার থাকে। যার দরুন এটা আপনার গ্যাসের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

লবঙ্গ: লবঙ্গ গ্যাস কমাতে খুব ভালো কাজ করে। আপনি যদি দুই তিনটা লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবতে থাকেন তাহলে এর রস আপনার পেটে গিয়ে এসিডিটি নিরোধ করতে সাহায্য করবে। আপনি চাইলে সকালের খাবারের পর আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খেতে পারেন। এক্ষেত্রেও আপনার গ্যাসের সমস্যা দ্রুত উপশম হবে।

আদা: গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আদা পানি খেতে পারেন। কারণ আদা হল যেকোনো ধরনের সমস্যায় যুগান্তকারী উপাদান হিসেবে পরিচিত। আপনি চাইলে সকালবেলায় এক থেকে দুই কোয়া আদা গালের মধ্যে নিয়ে চুবতে পারেন। এর রস পেতে গিয়ে আপনার গ্যাসের সমস্যা দ্রুত উপশম করবে।

দ্রুত পেট ব্যাথা কমানোর ঔষধ

দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জেনে নেই। বিভিন্ন কারণে পেট ব্যথা হতে পারে। 

তবে অধিকাংশ মানুষেরই এসিডিটি জনিত সমস্যার কারণে পেট ব্যথা হয়ে থাকে। আপনার যদি মেজর কোন প্রবলেম না থেকে থাকে শুধুমাত্র এসিডিটির কারণে আপনার অতিরিক্ত পেট ব্যথা হয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে নিচে উল্লেখিত ঔষধ গুলো খাওয়ার মাধ্যমে পেটব্যথা কমাতে পারবেন।

১. Aluminium Hydroxide + Magnesium Hydroxide (Entacyd)

এটা আমাদের দেশে পাওয়া যায় স্কয়ার কোম্পানির Entacyd নামে। এই ঔষধটি বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির কারণে পেট ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
ডোজ: ১৫ বছর + দের বা ২ চামচ করে দিনে ১ বা ২ বার... ৫ থেকে ১০ দিন।

২. Tiemonium Methylsulpate (Norvis)

এটা আমাদের দেশে পাওয়া যায় স্কয়ার কোম্পানির Norvis নামে। এই ঔষধটি ট্যাবলেট এবং ইনজেকশন আকারে পাওয়া যায়। অতিরিক্ত পেট ব্যথা হলে অর্থাৎ ট্যাবলেটে কাজ না হলে সে ক্ষেত্রে ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়।

ডোজ: ১৫ বছর + ট্যাবলেট ১ টা করে দিনে তিনবার খাবার পর...৩ থেকে ৫ দিন।

৩. Esomeprazole Sodium Injection (Esoral 40)

এটা আমাদের দেশে পাওয়া যায় স্কয়ার কোম্পানি Esoral 40 নামে। এই ইনজেকশনটা সীরাতে প্রদান করা হয়। এসিডিটির কারণে খুব বেশি পেট ব্যথা হলে এই ইনজেকশনটা প্রয়োগ করা হয়।

ডোজ: ১৫ বছর + প্রতিদিন একটা ইঞ্জেকশন আইভি ২ থেকে ৩ দিন।

৪. Capsule.Lansoprazole 15/30mg (Lansodin 30) + Capsule Omeprazole 20/40mg(Lansodin 30)

এটা আমাদের দেশে Lansodin 30 নামে ও Losectil 20 নামে পাওয়া যায়। এই ঔষধ গুলো এসিডিটির ব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে।

ডোজ: যেকোনো একটি ১৫ বছর + ১ টি করে দিনে ২ বার খাবার আগে ১৫ থেকে ২০ দিন। বা চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন।

৫. Hyoscine Butyl Bromide 10/20mg (Butapan 20mg)

এটা আমাদের দেশে Butapan 20mg নামে পাওয়া যায়।এই ঔষধ গুলো এসিডিটির ব্যথা কমাতে খুব ভালো কাজ করে।

ডোজ: ৬ বছর থেকে ১২ বছর ১০mg করে দিনে ৩ বার,খাবার পর,৩ থেকে ৫ দিন।
১২ বছর + হলে ২০mg করে দিনে ৩ বার,খাবার পর,৩ থেকে ৫ দিন।

নাভির উপর পেটে ব্যথা

নাভির উপর পেটে ব্যথা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে নাভির উপর পেটে ব্যথা করার কারণ সম্পর্কে। চলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা নাভির উপর পেটে ব্যথা করার কারণ সম্পর্কে জেনে নেই। সাধারণত নাভির উপর পেট ব্যথার মূল কারণ হলো বদহজম। 

তবে বদহজমজনিত সমস্যা শুধু যে নাভির উপর হবে তা নয় পেটের যে কোন জায়গায় এই ব্যথা হতে পারে। একই সঙ্গে বমি বমি ভাব ও পেট ভরা অনুভূত হতে পারে। এমন অস্বস্তিকর পেট ব্যথার স্থায়িত্ব কয়েক ঘন্টা হতে পারে। 

বদহজম হওয়ার মূল কারণ হলো অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার সাথে ভাজাপোড়া ও মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া। এ ধরনের খাবার হল বদ হজমের উদ্দীপক নামে পরিচিত। ডক্টরদের মতে যে কোন চর্বি জাতীয় খাবার হজম হতে দীর্ঘ সময় লাগে। যে কারণে এই খাবারগুলো বেশি সময় ধরে পাকস্থলীতে অবস্থান করে।

বদহজম জনিত সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে এ ধরণের খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। তাহলে বদ হজম জনিত পেটের যেকোনো সমস্যা থেকে নিজেকে রক্ষা করা যাবে। আশা করছি নাভির উপর পেটে ব্যথা হওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ

পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আর্টিকেলের এই পর্বটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা পেটে ব্যথা কমানোর ওষুধ সম্পর্কে জেনে নেই। পেটে ব্যথা হওয়ার বিভিন্ন কারণ রয়েছে।পেটে ব্যথার মূল কারণ হলো এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। 

কারো কারো ক্ষেত্রে গলি স্টোন হলে, কারো কারো কিডনিতে স্টোন হলে কিংবা অ্যাপেন্ডিক্স সাইটের ব্যথা হলেও পেটে ব্যথা হতে পারে। কারো কারো মূত্রনালী বা মুত্রসয়ের ইনফেকশনের কারণে পেটে ব্যথা হতে পারে। তবে এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন হল এসিডিটি বা গ্যাস্টিকের সমস্যা। আজ আমরা এসিডিটি বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা জনিত পেটে ব্যথা দূর করার ওষুধ সম্পর্কে জানব।
  • ১. Entacyd plus
  • ২. Norvis
  • ৩. Esoral 40
  • ৪. Lansodin 30
  • ৫. Lansodin 30
  • ৬. Butapan 20mg

পেট ব্যাথা হলে কি খাওয়া উচিত

পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আর্টিকেলের এই পর্বে আলোচনা করা হয়েছে পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা পেট ব্যথা হলে কি খাওয়া উচিত সে সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই। 

যদি বড় ধরনের কোন সমস্যা না থেকে থাকে তাহলে পেট ব্যথা সাধারণত গ্যাস্ট্রিকের কারণে হয়ে থাকে। আর গ্যাস্ট্রিক জনিত পেট ব্যথা দূর করতে হলে অবশ্যই যেসব খাবারে গ্যাস হয় সেই সব খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে। পেট ব্যথা হলে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া উচিত। কারণ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়ার ফলে পেটের সব বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যায় শরীর থেকে। 

এছাড়াও পেট ব্যথার সময় কাচা কলা খুবই কার্যকর। এই সময় কাচা কলা ভর্তা অথবা কাঁচা কলার তরকারি খাওয়া যেতে পারে। আদা পেট ব্যথার জন্য খুবই উপকারী। আপনি চাইলে সামান্য পরিমাণ আদা চিবিয়ে অথবা আদার রস বের করে খেতে পারেন অথবা আদা চা খেতে পারেন। 

পেট ব্যথা কমাতে আরো একটি কার্যকরী খাবার হলো দই। এছাড়াও ক্যামোমিল চা ও পিপারমেন্ট চা পেট ব্যথার জন্য উপকারী।

লেখকের মন্তব্য - পেটে ব্যথা কমানোর উপায়

প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো পেটে ব্যথা কমানোর উপায়, দ্রুত পেট ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।

প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url