সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানুন
বাংলাদেশের সকল ফায়ার সার্ভিসের নাম্বারসিলেট একটি অসাধারণ সৌন্দর্যের শহর। যেখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, ঐতিহ্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একত্রে মিলে গড়ে তোলা হয়েছে।আজ আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানবো।
সিলেট এমন একটি শহর যেখানে ঘুরতে গেলে সবার প্রথম আপনার মাথায় আসবে কোথায় যাব। সিলেটের দর্শনীয় স্থানগুলোর নাম গুনে শেষ করার মত নয়। তবে কিছু বিখ্যাত ও দর্শনীয় স্থানের না গেলে আপনার ভ্রমণ টাই যেন বৃথা।
পোস্ট সূচীপত্রঃচলুন তাহলে আর দেরি না করে আমরা সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জেনে নেই।
সিলেটের দর্শনীয় স্থান - ভূমিকা
অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দুটি পাতা একটি কুড়ির দেশ হল সিলেট। বৈচিত্রের সম্ভার এই সিলেট বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটন নগরী। প্রকৃতির রূপ বদলের সাথে পাল্লা দিয়ে সিলেট যেন নিজেকে সাজিয়ে নেয় ভিন্ন সাজে।
আর তাই ঋতু ভেদে সিলেটের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতি বছর ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা ভিড় জমায় এখানে। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে যে বিষয়গুলো জানব তা হল;
সিলেটের দর্শনীয় স্থান,জাফলং পরিচিতি,জাফলং এর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট,লাক্কাতুরা চা বাগান,সংগ্রাম পঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝর্ণা, হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরীফ,লোভা ছড়া,ভোলাগঞ্জ,বিছনাকান্দি,লক্ষণছড়া,পান্তুমাই ঝর্ণা,রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট সম্পর্কে। বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
সিলেটের দর্শনীয় স্থান
সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারণ আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আমরা সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
সিলেট এমন এক স্থানে অবস্থিত সেখানকার দর্শনীয় জায়গার নাম বলে শেষ করা যাবে না। ঢাকা হতে সিলেট সড়ক পথের দূরত্ব ২৪১ কিলোমিটার ও রেল পথের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটার।
আরও পড়ুনঃ পদ্মা সেতু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান
সিলেট বিভাগের ভিতরে শুধু সুনামগঞ্জ জেলা ব্যতীত সব জেলাতেই রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা রয়েছে। আজকে আমরা সিলেটের বিখ্যাত কয়েকটি সুন্দর দর্শনীয় স্থানের নাম সম্পর্কে জানবো এবং সেই স্থান গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
জাফলং পরিচিতি
গোয়াইনঘাট উপজেলায় জাফলং অবস্থিত। জাফলং যেতে হলে সিলেট শহর হতে আরও ৬২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হবে। সিলেট শহর হতে বাস, মাইক্রো বাস ও সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে জাফলং যাওয়া যায়। সিলেট শহর হতে বাসে করে জাফলং যেতে চাইলে বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে।
বাস ভাড়া জন প্রতি ৮০-৯০ টাকা নিতে পারে। যদি রিজার্ভ অটোরিকশা যোগে যেতে চান তাহলে ১২০০-১৫০০ টাকা নিতে পারে। এছাড়া মাইক্রো বাসে করে যেতে চান তাহলে আপনাকে মাইক্রো বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে ভাড়া ৩০০০-৩৫০০ টাকা নিতে পারে। আপনে ভাড়ায় চালিত যে বাহন গুলোতে উঠবেন আগে ভাড়া জেনে নিবেন তারপরে জাফলং এর উদ্দেশ্য রওনা দিবেন।
জাফলং সম্পর্কে বিস্তারিত
প্রকৃতির অপরূপ কন্যা হিসেবে জাফলং পরিচিত। ইতিহাস হতে জানা যায় অনেক বছর ধরে এই জাফলং জৈন্তা রাজার অধীনে ছিলো। ১৯৫৪ সালে জমিদার প্রথা বিলুপ্তির পর জৈন্তা রাজ্যের অবসান ঘটে। খাসিয়া জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে জাফলং অবস্থিত।
পিয়াইন নদীর স্তরে স্তরে বিছানো পাথরের স্তূপ তার উপর দিয়ে অবিরাম ধায় জলপ্রপাত প্রবহমান, রয়েছে ঝুলন্ত ডাউকি ব্রিজ, উঁচু পাহাড় সবুজে অরণ্য, নীরবতার কারণে এই এলাকাটি পর্যটকদের দারুণভাবে আকৃষ্ট করে। শীত ও বর্ষা এই দুই মওসুমেই জাফলং এর দৃশ্য ভিন্ন হয়ে থাকে।
এই দুই মওসুমের দৃশ্য দেখার জন্য দেশ ও বিদেশের অনেক পর্যটক ছুটে চলে আসে। ভ্রমণ পিয়াসীদের কাছে জাফলং একটি অন্যরকম আকর্ষণীয় স্থান। আশির দশকের দিকে সিলেটের সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়। যারাই সিলেটে ঘুরতে আসে জাফলং না গেলে তাদের ভ্রমণটাই কেমন যেন অপূর্ণ হয়ে থেকে।
জাফলং এর বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট
জাফলং ছোট বড় অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে। যেমন- পর্যটন রেস্তোরা (তামাবিল জিরো পয়েন্ট), পিকনিক সেন্টার রেস্টুরেন্ট (জাফলং, বল্লাঘাট), ক্ষুধা রেস্টুরেন্ট (জাফলং, বল্লাঘাট) ইত্যাদি।
লাক্কাতুরা চা বাগান
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হতে উত্তরে টিলার উপরে লাক্কুতুরা চা বাগান অবস্থিত। দুইটা পাতার একটি কুড়ি হিসেবে বেশ পরিচিত এই অঞ্চল। ন্যাশনাল টি বোর্ডের অধীনস্থ এই সরকারী লাক্কাতুরা চা বাগান। উঁচু নিচু পাহাড়ে ঘেরা এই অঞ্চল।
বাংলাদেশের বৃহত্তম চা বাগান গুলোর মধ্যে অন্যতম বাগান এই লাক্কাতুরা চা বাগান। এই বাগান তিন হাজার দুইশত হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত। বছরে এ চা বাগার হতে প্রায় পাঁচ হতে ছয় লাখ কেজি চা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।
সংগ্রাম পঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝর্ণা
সংগ্রাম পুঞ্জি ঝর্ণাকে স্থানীয় বাসিন্দরা মায়াবী ঝর্ণা বলে থাকেন। জাফলং জিরো পয়েন্ট হতে ভারতীয় সীমান্তে অবস্থিত মায়ারী ঝর্ণায় যেতে ১৫-২০ মিনিট সময় লাগে। পাহাড়ের গা বেয়ে নিচে পুকুরের সৃষ্টি হয়েছে। সংগ্রাম পঞ্জি ঝর্ণা বা মায়াবী ঝর্ণার মোট তিনটি ধাপ রয়েছে। ভ্রমণ নিচের অংশ ভ্রমণ প্রিয়াসীদের জন্য আদর্শ স্থান। দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে একটি গর্ত।
সেই গর্ত দিয়ে পানি কোথায় যায় কেউ বলতে পারে না। তৃতীয় ধাপে সাহস ও সচেত অবস্থায় আপনাকে উপরে উঠতে হবে এবং আপনে পাহাড়ের সমস্ত স্থান উপভোগ করতে পারবেন আবার একটু অসতর্ক হলে নির্ঘাত মৃত্যু হতে পারে।
হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার শরীফ
আউলিয়ার নগরী এই সিলেট নগরী। এখানে তিনশত ষাট আউলিয়ার নগরী হিসেবে খ্যাত এই সিলেট নগরী। সিলেট শহর হতে পূর্ব দিকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে সুউচ্চ ও মনোরম টিলায় অবস্থিত হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার অবস্থিত।
আরও পড়ুনঃ কর্ণফুলী টানেল নিয়ে বিস্তারিত তথ্য
সিলেটে যে সব পীর দরবেশ চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। তাদের মধ্যে হয়রত শাহজালাল (রঃ) অন্যতম। প্রতি বছর হয়রত শাহজালাল (রঃ) মাজারে ধর্ম, বর্ণ ও নির্বিশেষে সকলেই আসেন।
লোভা ছড়া
সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার উত্তর- পূর্ব সীমান্ত ঘেঁসে খাসিয়া ও জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে নদী হচ্ছে লৌহছড়া। এখানে পাহাড় ও স্বচ্ছ পানির কারণে এখানকার পরিবেশ দিয়েছে ভিন্ন মাত্র। এছাড়াও এখানে রয়েছে ব্রিটিশ আমল হতে চালু চা বাগান এবং ১৯২৫ সালে নির্মিত পুরাতন সেতু ও খাসিয়া গ্রাম।
পাহাড়, নদী ও নীল আকাশের অপূর্ব মায়াজালে প্রকৃতিকে দিয়েছে এক নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপহার দিয়েছে। সেখানে সকালের দিকে যেতে পারলে প্রকৃতির সৌন্দর্যের পাশাপাশি বন মোরগ, ঘরগোস ও হরিণ দেখতে পাওয়া যায় এবং লোভা ছড়ায় চা বাগান ও সেতু ছাড়াও রয়েছে খাসিয়া পল্লী, এছাড়াও লোভা ছড়ায় নদীতে শ্রমিকদের পাথর উত্তোলনের কর্মতৎপরতা চোখে পড়ার মতন।
ভোলাগঞ্জ
সিলেট জেলা হতে ৩৩ কিলোমিটার দূরে সিমান্তবর্তী কম্পানিগঞ্জ উপজেলার অবস্থিত প্রকৃতির মায়া জড়ানো ভোলাগঞ্জ। ভোলাগঞ্জ আমাদের দেশের সর্ববৃহৎ পাথড় অঞ্চল। ভোলাগঞ্জ এর পাশে প্রাকৃতিক দেয়াল হিসেবে রয়েছে ভারতের মেঘালয়ের উচু উচু পাহাড়।
ঐ পাহাড় হতে নেমে আসা ঝর্ণাধারা একদিকে ধলাই নদের পানির উৎস অন্যদিকে এই ভোলাগঞ্জের রূপের উৎস। এখানে সবুজ পাহাড়, মেঘের হাতছানি আর বর্ষার পাহাড়ি ঢলের সাথে নেমে আসা সাদা পাথড় ধোলাই নদের বুকে মিলেমিশে ভোলাগঞ্জের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
বিছনাকান্দি
গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে বিছনাকান্দি অবস্থিত। বিছনাকান্দি মূলত জাফলং ও ভোলাগঞ্জের মতই। বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তে খসিয়া পাহাড়ের দুইপাশ থেকে বিছনাকান্দি মিলিত হয়েছে। সেই সাথে মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেঁষে পাহাড়ি ঝর্ণা বিছনাকান্দিকে দিয়েছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য।
সেই সাথে পর্যটকদের কাছে বিছনাকান্দি মূল আকর্ষণ হচ্ছে পাথরের উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ জলধারা আর পাহাড়ে পাহাড়ে শুভ্র মেঘের ভেলা দেখে মনে হবে এ যেন এক পাথরেরর বিছানা। যা আপনাকে বারবার টেনে নিয়ে যাবে বিছনাকান্দি প্রকৃতির কাছে।
এযেন সবুজে ঘেরা পাহাড়, নদী, পাথর আর ঝর্ণা মিলে মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছে এই বিছনাকান্দি অঞ্চল। শুকনো মৌসুমে সড়কপথে যাওয়ার বিভিন্ন পথ রয়েছে কিন্তু বর্ষা মৌসুমে নৌকা যোগে বিছনাকান্দি গেলেই সৌন্দর্যটা আপনাকে আরও মুগ্ধ করবে।
লক্ষণছড়া
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার গ্রামের ভিতর দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষে কয়েক মিনিট হাটে গেলেই লক্ষণছড়া পেয়ে যাবেন। আপনার ভ্রমণ তালিকায় পান্তুমাই ঝর্ণা থাকে তাহলে লক্ষণছড়া ঝর্ণা হয়ে ঘুরে আসতে পারেন।
ভারতীয় ঝর্ণা ধারা পাথরের সৃষ্ট ঝর্ণা ধারা রয়েছে। ভারতীয়দের সীমানায় চলাচলের জন্য রয়েছে ব্রিজ সেই ব্রীজের নিচ দিয়ে ঝিরি পথটি দেখতে অনেক চমৎকার লাগে আর ভরা বর্ষায় লক্ষণছড়া রূপ আরও সুন্দর ভাবে ফুটে উঠে।
পান্তুমাই ঝর্ণা
বাংলাদেশ ও ভারত সীমানায় অবস্থিত মেঘালয় পাহাড়ের কোল ঘেঁসা একটি সুন্দর গ্রামের নাম।সিলেটের থেকে জাফলং রোড় ধরে সারীঘাট পৌছে আরও ১৬ কিলোমিটার অগ্রসর হয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নে এই গ্রাম। বাংলাদেশের সুন্দর গ্রাম গুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই গ্রামে আছে উঁচু পাহাড় হতে নেমে আসা ঝর্ণা আর গ্রামের চারপাশের প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে থাকলে আপনি কোন ভাবেই নিরাশ হবেন না। এই জলধারার মূল অবস্থান ভারতে হবার পরেও ছোট ছোট নৌকা গুলো ১০০ টাকায় ভাড়া করে ঝর্ণার বেশ কাছে যাওয়া যায় । স্থানীয়দের মতে নিরাপদ দূরত্ব থেকে পর্যটকগণ ছবি ও ভিডিও করতে পারবে।
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট
রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র বন। সিলেট জেলা শহর হতে প্রায় ২৬ কিলোমিটার দূরে গোয়াইনঘাট উপজেলায় অবস্থিত। রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টটি প্রায় ৩০৩২৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এই বিস্তীর্ণ এলাকার পাঁচশত একর জায়গায় রয়েছে বন আর ছোট বড় জলাশয়।
তবে বর্ষাকালে পুরো এলাকা দেখতে একই রকম মনে হয়। রাতারগুল সোয়াম্প বন বছরে চার থেকে পাঁচ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। তখন বনের ভিতরের গাছ গুলো দেখতে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক এসে ভিড় জমায়। এই সময় গাছের ডালে ভিন্ন প্রজাতির পাখির দেখা মিলে।
কেউ কেউ এই রাতারগুল সোয়াম্প বনকে বাংলাদেশের অ্যামাজন বন হিসেবে উল্লেখ করেন। সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্টে ঘুরতে আসার উপর্যুক্ত সময়।
লেখকের মন্তব্য - সিলেটের দর্শনীয় স্থান
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি হয়তো সিলেটের দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে জানতে পেরে উপকৃত হয়েছেন।
প্রতিদিন নিত্যনতুন ও তথ্যসমৃদ্ধ আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো দিয়ে রাখুন। আপনার কোন পরামর্শ বা মতামত থাকলে আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন। এতক্ষণ ধৈর্য সহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আয়াত ওয়ার্ল্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url